ইবির ইংরেজি বিভাগে একই প্রশ্নে দুইবার পরীক্ষা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

একই প্রশ্নপত্রে টানা দুইবার অনার্স তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগ। গত ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ৩০৫ নম্বর কোর্সের পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে বলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। দুই র্কোস শিক্ষকদের একজন প্রশ্নপত্র জমা না দেয়া এবং অন্যজন তড়িঘড়ি করে গতবছরের সাথে প্রায় হুবুহু মিল করে প্রশ্ন জমা দেয়া প্রশ্ন সমন্বয় না করেই তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা গ্রহণ করায় এমন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনার্স তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা কমিটির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আজগর হোসেন। জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর ‘এলিজাবেথান এ্যান্ড জ্যাকোবিয়ান ড্রামা’ (৩০৫) কোর্সের পরীক্ষা-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একই কোর্সের ২ ও ৩ নং প্রশ্ন পরির্বতন করে একই অংশে অথবা হিসেবে ব্যবহৃত প্রশ্ন হুবহু মিল রেখে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। যা পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নিয়মের পরিপন্থী। এছাড়াও ব্যাখ্যা অংশে ‘সি’ নম্বর ব্যতিত সকল প্রশ্ন মিল রেখে তিনি এ পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন। তবে দুই এবং তিন নম্বর প্রশ্নের মূল প্রশ্ন পরিবর্তন করা হলেও বিকল্প প্রশ্ন দুটির কোন পরিবর্তন করা হয়নি। এছাড়াও ৬ নম্বর প্রশ্নের ৮ টি ব্যাখার মধ্যে ৪ টি উত্তর করতে বলা হয় এতে সকল প্রশ্ন যথাযথ স্থানে মিল রেখে শুধুমাত্র ‘সি; নম্বর প্রশ্নটি পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এভাবে একই প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ কতটুকু যুক্তিযুক্ত এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ২০১৮ সলের প্রশ্ন দিয়েই ২০১৯ সালে আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কোর্স শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন জাহিদ বলেন, এ বিষয়ে দায়ভার কোর্স শিক্ষকের থাকে না। আমরা একটা প্রশ্ন সাবমিট করি (জমা) তারপর তারা (পরীক্ষা কমিটি) মডারেশন করেন। পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজগর হোসাইন এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনেই প্রশ্ন তৈরী করেছি। তারপরও শনিবারে মিটিংয়ে এই বিষয়ে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।’ বিষয়ে নিয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক মুঈদ রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে এ ধরনের কোন আইনত বাধা নেই। তবে বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। এ ব্যাপারে আরো সচেতনতা আশা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে আজাদ বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রিপিটেশনের বিষয়ে কোন বিধি-নিষেধ আমাদের চোখে পড়েনি। এ সংক্রান্ত বিষয় স্ব-স্ব বিভাগের পরীক্ষা কমিটি দেখে থাকেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন